তিনি বলেন, আলোচনা করুন, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন, তার সঙ্গে কথা বলুন, নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
শনিবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
‘জনগণই এদেশের মালিক। সেই জনগণের যেটা চাহিদা সেটা পূরণের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এই দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম তারা সত্যিকার একটি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করেছিলাম। আজ এই সময়ে এসে একদম তার উল্টোটা দেখতে পাচ্ছি। একটা অশান্তিময়, অগণতান্ত্রিক চরম স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাস করছি।
খালেদা জিয়াকে তিনমাস ধরে মিথ্যা সাজানো মামলায় আটকে রাখা হয়েছে এবং জামিন পাওয়ার আইনগত অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৯ মে সুপ্রিম কোর্টে যখন শুনানি হচ্ছিল তখন অ্যাটর্নি জেনারেলকে একজন বিচারক জিজ্ঞাসা করলেন, ডিফেন্সের আইনজীবীরা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, এমন একটি মামলা দেখান যে মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন, আর চেম্বার জজ ও সুপ্রিম কোর্ট সেটাকে আটকে দিয়েছেন। তারা পারেননি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ঘুরুক আগে। আবর্তন করুক, তখন দেখা যাবে। সেটার মালিকানাতো চলে গেছে দু’জনের হাতে। সেখান থেকে আমাদের কিনে নিতে হবে।
ড্যাব-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, ড্যাব মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাব নেতা ডা. আক্তার হোসেন খান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, ড্যাব বিএসএমএম শাখার সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ড্যাব সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকী, ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এমএইচ/এএ