রোববার (১৩ মে) দুপুরে এই রিটটি দায়ের করা হয়েছে বলে বিকেলে সাংবাদিকদের জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, খুলনায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিপন্থি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করে এটা করা হচ্ছে। তারা আইন মানছেন না...। এ আইন অমান্য এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা রিট ফাইল করেছি। যা আগামী সোমবার (১৪ মে) শুনানি হবে।
খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘অব্যাহতভাবে গণগ্রেফতার চলছে অভিযোগ করে মওদুদ আরও বলেন, সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিবালোকে যেভাবে নেতাকর্মীদের আটক করছে তা নজিরবিহীন। রাতের বেলায় আমাদের নির্বাচনী এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তারা বাড়িতে থাকতে পারছে না।
‘সাদা পোশাকধারীরা যেভাবে গ্রেফতার করছে এটা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থি। এ বিষয়ে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের একটি বিখ্যাত রায় রয়েছে। ওই রায়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। কীভাবে করতে হবে, কোনটা সঠিক হবে, কোনটা সঠিক হবে না, সে গাইডলাইন দেওয়া আছে। সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনের ওপর ভিত্তি করে এর আগেও আমরা একটা রিট ফাইল করেছিলাম। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ পাঁচজনের ব্যাপারে। সেখানে হাইকোর্ট রুল ইস্যু করেছেন। সেখানে আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। যারা এ ব্যাপারে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি জানিয়েছি। ’
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা দুপুরে বিচারপতি ইমাম হোসেন চৌধুরীর আদালতে বিশেষ অনুমতি চেয়েছি রিট করার জন্য, আদালত সদয় হয়ে আমাদের অনুমতি দিয়েছেন।
আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৪ মে) থেকেই মাঠে প্রস্তত থাকবে আইন-শঙ্খলা বাহিনী। তবে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামার শুরু থেকেই নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে আসছিল বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআইএস/এইচএ/