সোমবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে রিমান্ড শেষে আদালতের নির্দেশে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠায় গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন এমপি রানা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ মে) টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম আমানুরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এমপি রানা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন, সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এসআরএস