বৃহস্পতিবার (১৭ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বহু খেলা খেলেছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনের নাম হয়েছিল এক হোন্ডা, দুই গুণ্ডা, দুই স্টেনগান। ভোটার থাকতো না পোলিং বুথে। ব্যালট বাক্সও হাইজ্যাক করে নির্বাচন করতো। তারাই আজ নির্বাচনের সততার কথা বলে।
‘শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই দেশের সুখ্যাতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, দেশকে আকাশচুম্বী উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন। যারা দেশের অর্জন খাটো করে তারা দেশপ্রেমিক নয়, দেশদ্রোহী। ’
দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্যাটেলাইট থাকা বিশ্বের ৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। নিউক্লিয়ার এগ্রিমেন্টেও আমরা রয়েছি। বিশ্বের অন্যতম হায়েস্ট গ্রোয়িং ইকোনমির দেশ এখন বাংলাদেশ। এটা বৈশ্বিকভাবে প্রমাণিত। সেদিন আর দূরে নয় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ।
তিনি আরও বলেন, কোনো পত্রপত্রিকায় খুলনার নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, কিন্তু বিএনপি করেছে। এটা তাদের অভ্যাস। বিএনপি একটি লিমিটেড দল। খুলনার নির্বাচন আবারও প্রমাণ করেছে আমরা একত্রিত থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়েনর মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তর হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা-যুদ্ধাপরাধী বিচার করেছেন। আগামীতে ২১ আগস্ট হামলারও বিচার করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচটি ইমাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এসকে/এএ