শনিবার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
মোশাররফ বলেন, আন্দোলন ঘোষণা দিয়ে হয় না। কোটা আন্দোলন দেখুন। কোনও নেতাও ছিলো না। জনগণ আর আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। নিজেরাই রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নেবে। সরকার তখন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। আর খালেদা জিয়া, বিএনপি এবং ২০ দল ছাড়া দেশে কোনও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।
বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, খালেদাকে মাইনাস করে যে নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, জনগণ তা মেনে নেবে না। জনগণের সঙ্গে বারবার প্রতারণা করা যায় না। দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। বারবার প্রতারিত হবে না। যদি ২০১৪ এর পথে আওয়ামী লীগ হাটে, জনগণ তা রোধ করবে। যারা মনে করছেন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন, তা ভুলে যান। জনগণ রাস্তায় নামলে টিকতে পারবেন না।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদার মুক্তির জন্য গণআন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ সিনিয়র নেতা।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, তিনি বলেছিলেন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না। অথচ রমজানের দু’দিনের মধ্যে সব বেড়ে গেছে। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ তাদের কোনও চেইন অব কমান্ড নেই।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট জামিন দিলো, আপিল বিভাগও জামিন দিলো। কিন্তু অন্য মামলাগুলো নিয়ে যেভাবে পরিকল্পনা করছে এবং খালেদাকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ তা মেনে নেবে না।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এমএইচ/আরবি