সোমবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুক্তির দাবিতে আলোচনার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
নোমান বলেন, জনসাধারণ যখন রাস্তায় নামবে তখন খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। আমরা জয়লাভ করতে পারবো। আমরা ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো, খুলনার মতো নির্বাচন আর হতে দেব না। এজন্য এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ইস্তফা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এটা আমাদের লক্ষ্য-আন্দোলনের একটা অংশ।
খুলনার নির্বাচনে জালভোটের পরিবর্তে ভোটদখল স্তরে চলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থাকে সহযোগিতা করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার যা বলবে সেটাই কমিশন করবে। কমিশনের আইনে এবং সংবিধানে কমিশন যে নির্বাচন পরিচালনায় নেতৃত্বপ্রদানকারী, সেটা তারা করছে না। তারা সরকারের লেজুরবৃত্তি করছে। ’
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন একটা আইন প্রণীত হয়েছে, যখন মনে করবে দুর্যোগ আসছে, সমস্যা হচ্ছে তখন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সমস্ত বাহিনী ও অরগানগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। তখন তারা যে ডিসিশন নেবে সেটা কার্যকর হবে। এটার ডিসিশনটা দেবে দেশের প্রধান নির্বাহী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার যে সাংগঠনিক ক্ষমতা আছে এগুলো ছাড়াও তিনি যেকোনো সময় আমাদের ওপরে সাংবিধানিকভাবে সেটা চাপিয়ে দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধংস করেও লজ্জাবোধ করে না। এই সরকারকে শায়েস্তা করার জন্য, ভোটাধিকার বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া, শফিউল বারী বাবু অথবা শিমুল বিশ্বাস এদের কারাগারে নিয়েছে। কারাগারে নিয়ে যায় শাসক আর বের করে জনতা। আজ সেই জনতা খালেদা জিয়াকে বের করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, ছাত্রদল নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপি নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এমএইচ/আরআর