মঙ্গলবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও ইফতারে তিনি একথা বলেন।
দলের সিনিয়র নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, আমরা কবে আন্দোলন করতে নামবো সেদিকে না তাকিয়ে আপনাদের দায়িত্ব সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে নামানো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাকে মুক্ত করা। যে মামলায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, দেশে বিচার-আদালত থাকলে তিনি এই মামলায় আসামি হন না। মামলাটা যখন শুরু হয়েছে তখনই আমাদের আগাম বোঝা উচিৎ ছিল, এটা রাজনৈতিক কারণে জাতির সামনে দুর্নীতিবাজ হিসেবে অপমান করার জন্য। তাকে জেলে দিয়ে যেনতেনভাবে আর একটা নিকৃষ্টতম নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ক্ষমতায় থেকে গায়ের জোরে জনগণের সঙ্গে বিদ্রুপের মাসুল দিতে হবে। এর মাসুল না দিয়ে কোনো উপায় নেই। এটা প্রকৃতির বিধান। প্রত্যেকটা অ্যাকশনের একটা রি-অ্যাকশন থাকে।
জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নূর আফরোজ জ্যোতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া, সমবায় দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ জাহাঙ্গীর খান, সমবায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ রাফিকা আফরোজ, মজিবর মৃধা, সাজ্জাদ আলম খান সজল, এসএম পিংকু সরকার, আপেল মাহমুদ, আল আমিন, মো. রিপন, জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ার হোসেন, মো. আসাদ, সালাউদ্দিন সবুজ প্রমুখ। পরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআর