বৃহস্পতিবার (৩১ মে) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। খালেদার পক্ষে আরও উপস্থিত রয়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী।
গত সোমবার (২৮ মে) সকালে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় খালেদাকে জামিন দেন। তবে নড়াইলের মানহানির মামলায় আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়।
পরে দুপুরেই রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২৯ মে) দিন ঠিক করেন।
আর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে খালেদার ছয় মাসের জামিনাদেশ স্থগিত করে বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।
গত ২০ মে সকালে তিনটি মামলার জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রোববার (২৭ মে) কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলা ও নড়াইলের মানহানির মামলার ওপর শুনানি শেষ হয়।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ২০ জন। সেসব ঘটনায় দু’টি মামলা করা হয়।
এসব মামলায় কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ৭ জুন দিন নির্ধারিত রয়েছে। পরে এ তারিখ এগিয়ে আনতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
অন্যদিকে নড়াইলের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারেও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়।
২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নামে এক ব্যক্তি এ সংক্রান্ত খবর পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
ইএস/এইচএ/