বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপকভাবে গাড়ি ভাঙচুর করা ছাড়াও বাড়ির দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
বুধবার ঢাকার ৭৪, দিলকুশায় শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ সঙ্গে নিয়ে এসে ‘দৈনিক দেশ জনতা’র অফিস উচ্ছেদ করে দিয়েছে অভিযোগ করেন রিজভী বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অফিসের জন্য ভবনটি ভাড়া নেয়া ছিল এবং নিয়মিত ভাড়া দেওয়া হতো। অথচ নোটিশ ছাড়াই ম্যাজিস্ট্রেট পত্রিকাটি উচ্ছেদ করা শুধু বেআইনিই নয় বরং পত্রিকাটি বিরোধী দলের মালিকের হওয়ার কারণেই অবৈধ সরকারের পক্ষ থেকে এটি দখল করা হলো। এটি দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জানমালের ওপর সরকারি হামলার আরেকটি বীভৎস দৃষ্টান্ত। বিরোধীদলের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে চূড়ান্তভাবে দাফন করার জন্যই এ কাজটি করা হয়েছে।
৩০ মে জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৩১ মে) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলেও রিজভী অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, এসময় খাদ্য সামগ্রীসহ জিনিসপত্র কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি মহাসচিব এর কয়েকটি অনুষ্ঠানসহ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের কয়েকটি অনুষ্ঠানেও হামলা করে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার ওয়ারী, দয়াগঞ্জ এবং বৃহস্পতিবার এফডিসি’র গেটে জাসাস আয়োজিত কর্মসূচি পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও ঢাকায় অধিকাংশ এলাকায় ৩০ মে উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী, খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ