বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় অসত্য অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘাট শ্রমিকদের বাদ দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দিয়ে ঘাট পরিচালনা করছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রীকে লিখিত এবং মৌখিকভাবে বার বার আবেদন করার পরও প্রকৃত ঘাট শ্রমিকদের প্রতি তিনি কোনো উদারতা না দেখিয়ে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেও সফল হন নাই।
তিনি আরও বলেন, ৪৩ বছর ধরে ঘাট শ্রমিক লীগের কর্মীরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আসছে। কিন্তু গত ১০ বছর যাবত নৌ পরিবহন মন্ত্রী ঘাট শ্রমিক লীগের কর্মীদের ঘাট ইজারা না দিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত লোকদের ইজারা দিচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন খাস কালেকশন, বিশেষ কোটা, উন্মুক্ত যে কোনো নামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ঘাট শ্রমিক লীগের কর্মীদের ঘাট ইজারা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি দু’টি দাবি তুলে ধরে বলেন, বিশেষ ক্ষেত্রে ঘাট শ্রমিক লীগের নেতৃত্বে সমবায় সমিতির মাধ্যমে ঘাট পরিচালনা করার সুযোগ দিতে হবে। ঘাট শ্রমিক লীগের পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো শ্রমিক ঘাটে অবস্থান করতে পারবে না।
আগামী ৬ জুনের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এর নামে ঘাট পরিচালনা ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭ জুন সকাল ১১টায় সদরঘাটে মানববন্ধন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল জলিল হাওলাদারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ