মঙ্গলবার (৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত সংহতি সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।
বাজেটে জনগণের কোনো প্রত্যাশা মিটবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেটে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ একটি পরিকল্পিত কারচুপির নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি কার কাছে চাইবো প্রশ্ন করে তিনি বলেন, দেশে কোনো বিচার ব্যবস্থা নেই, আইনের শাসন নেই। দেশে যে আইনের শাসন নেই তার প্রধান প্রমাণ হলো প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা করতে চাই, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট কোনো নির্বাচনে যাবে না। স্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। যদি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, আমরা নির্বাচনে যাবো না। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজপথে নেমেছি, রাজপথে আরও শক্তভাবে নামবো।
হাফিজ বলেন, আমরা অপেক্ষা করে আছি সরকারের বোধদয় হয় কি না। গাজীপুরের সিটি নির্বাচন পর্যন্ত আমরা দেখবো। তারপর ঈদের পর আমরা ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনগুলোতে আমাদের কী করণীয় হবে। বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। ২০ দলীয় জোটের পক্ষে শতকরা ৮০ জন লোকের সমর্থন রয়েছে।
বিচার বিভাগের কাছে আমরা আবেদন জানাতেই পারি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখার জন্যে শপথবদ্ধ। আপনারা রাজনৈতিক দলের দিকে তাকাবেন না। বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি অসুস্থ। তার প্রতি আপনারা সুবিচার করুন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত এই সংহতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কল্যাণ পার্টির সহ-সভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৮
এমএইচ/আরআর