বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির থানা ও ওয়ার্ডের নবঘোষিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে জিয়ার সমাধিতে যান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
মঈন খান বলেন, বাজেটের আকার দিয়ে কিছু বোঝা যায় না। বাজেটের আকার বাজেটের মান সম্বন্ধে কিছু বলে না। বাজেটের মান অত্যন্ত নিম্ন। পদ্মাসেতু প্রজেক্ট প্রথম শুরু হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায়। সেই প্রজেক্ট আজ ৩৫ হাজার কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি এই প্রজেক্ট শেষ হতে হতে পদ্মাসেতুর বাজেট ৫০ হাজার কোটি টাকা হলেও আমরা অবাক হবো না। এতেই প্রমাণিত হয় যে বাজেটের কোয়ালিটি কী। বাজেট ফুলেফেঁপে বড় হয়েছে। এটা বাজেটের জন্য গৌরবময় কোনো বিষয় নয়। সাইজ দিয়ে কোনো বাজেটের কোয়ালিটি নির্ধারিত হয় না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই বাজেট জনগণকে শোষণ করছে। এই বাজেট একটি ভুয়া বাজেট। এই বাজেট দিয়ে কখনও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ হবে না।
বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পরে জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বাজেট সম্বন্ধে এখানে বিস্তারিত বলতে চাই না। বাজেট আগে পেশ করা হোক। বাজেটের পরে আমরা তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসি বজলুল বাসিত আঞ্জু, সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সসম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম সামছুল হকসহ নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমএইচ/আরআর