শুক্রবার (৮ জুন) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, আর এই সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন।
তিনি বলেন, এটা মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট। দেশের ৮৫ হাজার কিলোমিটার সড়কের বর্তমানে বেহাল অবস্থা। অথচ মেগা প্রকল্পের নামে তারা বাঘা দুর্নীতি করেছে। গতবার বড় বাজেট দেওয়ার পরও বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে। এবারেও অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে শুধু লুটপাটের জন্য। প্রস্তাবিত বাজেটেও মেগা দুর্নীতির জন্য সব পথ খোলা রাখা হয়েছে।
বাজেটে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে সুশাসন না থাকায় বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। বাড়িঘরের ট্যাক্স বাড়বে, বাসাভাড়া বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়বে।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির প্রশস্ত মহাসড়কে মানবজাতির বিচরণ। এই অবৈধ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। কিন্তু বাজেটে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ব্যবহারের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিএনপি না চাইলেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। তিনি আগামী নির্বাচনের ফল ক্ষমতাসীনদের পক্ষে নিতে নানা কারসাজি ও নতুন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এমএইচ/আরআর