ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‌‘বিজয় নিশান উড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাস’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
‌‘বিজয় নিশান উড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাস’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ভ্যাপসা গরমের মধ্যে জনতার ভিড় ঠেলে একটু জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিয়তে এ ভিড় কেবল তখন একটি ভবনকে ঘিরে। উদ্দেশ্য একটু বাইরে থেকে দেখে নেওয়া।

ভবনটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এক ইতিহাসের পাঠ। অথবা যেন নিজেই দাঁড়িয়ে আছে এক ইতিহাস হয়ে।

বাইরে থেকে তাকালেই চোখে পড়ে চারটি ম্যুরাল। এই ম্যুরালগুলোই মূলত ফুটিয়ে তুলেছে এক জলজ্যন্ত ইতিহাসকে।
 
উলম্বভাবে স্থাপিত সবার ওপরের ম্যুরালটিতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিচ্ছেন। তার নিচেই আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ম্যুরাল। এরপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দৃশ্যের অবতারণা যেন। আর নিচের দিক থেকে প্রথমেই রয়েছে বিজয় উল্লাসের ম্যুরাল। আহা! স্বাধীনতা আন্দোলন তথা মুক্তিযুদ্ধের এক সুস্পষ্ট ইতিহাসের পাঠ।
 
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সৃষ্টির এই ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য পাঠ হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যে দলটির নেতৃত্বেই এসেছে স্বাধীনতা, লাল-সবুজের পতাকা। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তাই এক জলজ্যন্ত ইতিহাস হয়ে নিজেই দাঁড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি। তাই হয়তো ভবনটি এক নজর দেখছেন সাধারণ পথচারিরাও।
 
সাধারণ মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। কেননা, ভবনটির স্থাপত্যশৈলী আর সুযোগ-সুবিধার কারণে বলা হচ্ছে- এটি এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক ভবন। এতে রয়েছে দু’টো পার্কিং। পুরো ভবন ওয়াইফাই সুবিধা সম্পন্ন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র রয়েছে প্রতিটি ফ্লোরে।
 
১০তলা ভবনের সবার ওপরে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, নবম তলায় আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়। অষ্টম তলায় সাধারণ সম্পাদকের দফতর। তার নিচের ফ্লোরগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জন্য। রয়েছে বেশ কয়েটি কনফারেন্স রুম, সভাকক্ষও। আরো আছে ডিজিটাল লাইব্রেরি, সাংবাদিক লাউঞ্জ, ভিআইপি (ভেরি ইমপর্টেন্ট পারসন) লাউঞ্জ।
 
আট কাঠা জায়গার ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে। দলটির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন।
 
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এই জায়গাটিতে ভবন তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০০১ সালে। এরপর নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন করেন ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল। আর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন ২০১৭ সালের ২৩ জুন।
 
কার্যালয়ের সামনের দিকে ম্যুরালের নিচ দিয়ে স্টিলের অকাঠামোর ওপরের দিকে বড় করে লেখা আছে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। যার পূর্ব পাশে শোভা পাচ্ছে ‘নৌকা’ প্রতীক। আর ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগান রয়েছে অকাঠামোর নিচের দিকে।
 
ভবনের প্রবেশ পথের বাঁ দিকে রয়েছে নামফলক। আর ডান দিকে রয়েছে ২১ আগস্ট স্মৃতিফলক। যেখানে শোভা পাচ্ছে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের প্রতিকৃতি।
 
এই ভবনটি উদ্বোধনের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাচ্ছে নিজস্ব কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।