গাজীপুর থেকে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ শুক্রবার (২২ জুন) দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্র গঠিত টিমের সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীরা এক হয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ধানের শীষের জন্য ভোট চাচ্ছেন। সবগুলো টিমের সমন্বয় করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি জনগণ ভোট দিতে পারলে বিপুল ব্যবধানে আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করবেন।
সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ডের জন্য গঠিত ৫৭টি টিমের সঙ্গে ওইসব ওয়ার্ড থেকে স্থানীয় কয়েকজনকে সমন্বয় করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে কেন্দ্রীয় চার থেকে ছয়জন করে নেতা রয়েছেন। তারা ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন।
জানা গেছে, এক নম্বর ওয়ার্ডের টিম লিডারের দায়িত্বে আছেন বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী। দুই নম্বরে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ। তিন নম্বরে বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা। চার নম্বরে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ছয় নম্বরে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিম লিডারের দায়িত্ব পালন করছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাদা মিয়া। একইভাবে কেন্দ্রীয় নেতারা ৫৭ ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়েছেন। থাকবেন শনিবার (২৩ জুন) পর্যন্ত।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিম লিডার বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন যাবৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত জনসংযোগ করা যাবে। আপাতত এখানে ভীতিকর পরিবেশ নেই। নেতাকর্মীরাও আর গ্রেফতার আতঙ্কে নেই। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
জানা গেছে, খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন আওয়ামী লীগ যেভাবে মাঠ দখল করে নিয়েছিল, গাজীপুরে সেটা করতে দিতে চায় না বিএনপি। তারা দলীয় নেতাকর্মীদের সেইভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে যেভাবেই হোক এজেন্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলের কয়েকজন নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আগের মতো কেন্দ্র দখলের সুযোগ পাবে না। যদি তারা কেন্দ্র দখলের মতো কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে প্রতিহত করা হবে। ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময়ও কেন্দ্র পাহারা দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, বিএনপির মধ্যে যেভাবে ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামী লীগে সেটা নেই। তাদের অনেকেই চায় না দলীয় প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হোক। এটা বিএনপির জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। এখন বিএনপি ঐক্য ধরে রাখতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ৫৭টি টিম কাজ করছে। তারা শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে ফিরে আসবে। একই সঙ্গে স্থানীয় কেন্দ্র ভিত্তিক দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন স্থগিতের আগে যেভাবে ধানের শীষের পক্ষে জনজোয়ার ছিল, এখনো তেমনই আছে। প্রশাসন ভয়ভীতি দেখালেও বিএনপির নেতাকর্মীরা তা পরোয়া না করে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না সেটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে। এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন হচ্ছে প্রশাসন আর বিএনপির মধ্যে। আমরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো, সব বাধা প্রতিহত করে এগিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/