ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাজেট আলোচনায় খালেদা-তারেক নিয়ে সরব এমপিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
বাজেট আলোচনায় খালেদা-তারেক নিয়ে সরব এমপিরা প্রতীকী ছবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদের বাইরের বিরোধী দল বিএনপি নিয়ে আলোচনার উত্তাপ ছড়ালেন মন্ত্রী, এমপিরা। অনেকেই বাজেটের বিষয়ে কথা না বলে সরাসরি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।

তবে কার্যপ্রাণালী বিধিঅনুযায়ী সংসদে উপস্থিত নাই এমন কারো বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। যদি কারো বিরুদ্ধে কথা বলা হয় তাহলে তাকেও কথা বলার সুযোগ দেওয়ার কথা কার্যপ্রণালী বিধিতে রয়েছে।

গত দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করায় তাদের কোনো প্রতিনিধি এই সংসদে নেই। সাধারণত বাজেট আলোচনায় ভুলত্রুটি ধরে দিলে বাজেট পাসের আগে সেগুলো আমলে নেন  অর্থমন্ত্রী। এবারের আলোচনায় তেমন কোনো সমালোচনা নেই।

রোববার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ সালের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ নারায়ন চন্দ্র চন্দ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার, সরকারি দলের এ কে এম রহমত উল্যাহ, এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সুবিদ আলী ভূঁইয়া, গাজী মম আমজাদ হোসেন মিলন, মাহফুজুর রহমান, সিমিন হোসেন রিমি, শফিকুল ইসলাম শিমুল, ডা. হাবিবে মিল্লাত, মনিরুল ইসলাম, এম আবদুল লতিফ, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইুন,ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াছিন আলী, বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম, নাসরিন জাহান রত্মা, রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।  

আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে। জঙ্গী ও জঙ্গীর সহযোগী বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি করে প্রথমে হলুদ ও পরে লালকার্ড পেয়েছে। লালকার্ডধারী খালেদা জিয়া আর মাঠে নামতে পারবে না, তাকে মাঠের বাইরেই থাকতে হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কোনো সক্ষমতা ছিল না, স্বপ্নও ছিল না। কেবল ছিল ব্যর্থতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্ষমতা, স্বপ্ন ও ভিশন আছে বলেই দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে সর্বত্র। দেশের মানুষের হাতে হাতে এখন মোবাইল, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট। গ্রামের মানুষের মুখে এখন স্বস্তির হাসি।

খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের ঘাতকরা জিয়া-মোশতাকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতার মূল্যবোধকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে বের করে এনেছি। দেশ যখন সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যহত করার চক্রান্ত চলছে। রাজনৈতিক নয়, চুরি অর্থাৎ এতিমের টাকা আত্মসাত করায় খালেদা জিয়া জেলে রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের অগ্নিসন্ত্রাসের চেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। ষড়যন্ত্রের বিষদাত ভেঙ্গে দেয়া হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক নন। তিনি পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন সেই প্রমাণ রয়েছে। তারেক রহমান বিট্রিশ কোম্পানির ডিরেক্টর পদে পরিচয় দিয়েছেন।

শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন,  বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন। সরকার কোনো মামলা দেইনি। তাই তার উচিত হবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া যে আমার ভুল হয়ে গেছে। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, আমার আসনে নাটোর-২ নির্বাচন করেন আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম জামানত হারাবেন।

বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বর্জনের নামে সারাদেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার দল বিএনএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। এ কারণে দেশ সাংবিধানিক সঙ্কট থেকে রক্ষা পেয়েছে, দেশের এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে প্রয়োজন পড়বে তাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এসকে/এসএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।