মঙ্গলবার (২৬ জুন) ভোটগ্রহণ নিয়ে সিইসির কাছে অনিয়মের অভিযোগ করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। এরপর আওয়ামী লীগ সিইসিকে জানায় বিএনপি হতাশা থেকে এমন অভিযোগ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি কখনো বলছে ২১টি, কখনো বলছে ১০০টি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। কিন্ত তারা কোনো তালিকা দিতে পারেনি। রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকার জন্য হতাশা থেকে জাতিকে বিভ্রান্ত ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগ করছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিএনপির কেন্দ্রীয় দু’নেতা গাজীপুরে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তার ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আজকে যতটুকু বিশৃঙ্খলা হয়েছে, সেই পরিকল্পনারই অংশ।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের মধ্যে দলটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওসার, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও এর আগে সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক করে। আলোচনার পর দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা সিটির মতো গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করার দাবি করেছিলাম আমরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ইসি। ফলে পুলিশ সুপার এবং তার নেতৃত্বে জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ সেখানে চূড়ান্ত রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ২১টি কেন্দ্র থেকে পুলিশ, জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ এবং সাদা পোশাকের পুলিশের নেতৃত্বে আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ইসির মোবাইল টিম, মনিটরিং টিম থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পায়নি। সিইসিকে আমরা সব জানিয়েছি। তিনি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে বলেছেন। আমরা এতে আশ্বস্ত হতে পারিনি।
দলটির প্রতিনিধিদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ