ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ছেলে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ছেলে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন এমপি রানা। ছবি বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় তার ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

বুধবার (২৭ জুন) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষী দেন সুমন।  

পরে এমপি আমানুর রহমান খান রানার পক্ষে ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী মাহবুব আহমেদ প্রথমে জেরা করেন।

এরপর মামলার পলাতক আসামি এমপি রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং কবির মিয়া, আলমগীর হোসেন চান, ছানোয়ার হোসেন ও বাবু মিয়ার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আরফান আলী মোল্লা জেরা করেন।  

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাইক্রোবাসে করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। বিচারক মাকসুদা খান সকাল ১১টার দিকে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।  

মামলার আরেক সাক্ষী নিহত ফারুক আহমেদের মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনেরও হাজিরা বুধবার আদালতে দাখিল করা হয়। পরে আদালত শুধু আহমেদ মজিদ সুমনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করেন। আগামী ২৬ জুলাই পরবর্তী সাক্ষীর দিন ধার্য করেন আদালত।  

মামলার প্রধান আসামি রানা ছাড়াও টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয় বুধবার। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদও আদালতে হাজিরা দেন।

আদালতের কার্যক্রম শেষে দুপুরেই এমপি রানাকে কড়া পুলিশ প্রহরায় কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এমপি রানা এ আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ এ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।  

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইয়ের নাম উঠে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় রানা, তার তিন ভাই মুক্তি, কাঁকন ও বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।