দুপুরে বেলা ১২টার দিকে প্রথমে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনায়নপত্র জমা দেন। এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের লোকজনসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে আমি আগেই বলেছি আমার কোনো ইশতেহার থাকবে না। বরিশালের মানুষের চাওয়া-পাওয়াই আমার ইশতেহার। বরিশালের মানুষের সেবায় আমি এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করছি।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রেখেছেন, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের যে উন্নয়ন তিনি করেছেন তাতে ইনশাআল্লাহ বরিশালের মানুষ ৩০ তারিখের নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে জয়লাভ করাবেন।
মেয়র প্রার্থী সাদিক বলেন, আমরা আশাবাদী সরকারের উন্নয়ন এগিয়ে নিতেই মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। কারণ বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরণ বরিশালের যে উন্নয়ন করেছে তা আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি এটা বরিশালের মানুষ জানে।
অন্যদিকে বেলা দেড়টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বরিশালের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধ, আন্দোলন-সংগ্রাম রাজনীতিতে জড়িয়ে রয়েছি আমি। এখানকার মানুষ আমাকে পাঁচবার ভোট দিয়েছে। বরিশালের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে, বরিশাল বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিমানবন্দরসহ আমরা বিএনপি যে উন্নয়ন করেছি তা কেউ করেনি। বরিশাল সিটি করপোরেশনও আমরা করেছি।
‘আর সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়ে বরিশাল নগরীর প্রথম উন্নয়ন আমি করেছি। কাজেই আগামীতে যাতে বরিশালের মানুষের উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুন্দর নগরী গড়া যায় সেজন্য আমি যথাযথভাবে চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ। ’
মজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, ২০১৮ সাল ভোটের বছর। নির্বাচন নিয়ে মানুষের শঙ্কা কাটানো আর সুনাম রক্ষা করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। বরিশালের মাটিতে যদি উল্টা-পাল্টা কিছু হয়, নির্বাচনে কারচুপি হয় তবে সেটা বর্তমান সরকারের গায়ে পড়বে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও বরিশালে জাতীয় পার্টি, বাসদ, সিপিবি, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থীসহ মোট সাতজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৩০ জুলাই বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এমএস/এমএ