শুক্রবার (২৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদার মুক্তির দাবিতে জিসাস আয়োজিত সংস্কৃতি সেবীদের সংহতি সমাবেশ ও গানের সিডি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মওদুদ বলেন, সরকার অনেক চেষ্টা করেছে কিভাবে খালেদার মুক্তি বিলম্ব করা যায়।
তিনি আরও বলেন, আর মাত্র পাঁচ মাস আছে, মধ্যখানে চার মাস। দেশ কঠিন পরীক্ষার মধ্যে আছে। ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে। এর চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ স্বাধীনতার পর আমাদের আর আসেনি। এই চ্যালেঞ্জ হলো দেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। কারণ সবকিছু আমরা হারিয়েছি। একটা জাতির জন্য যে বিশেষ প্রতিষ্ঠানগুলো থাকার কথা, সেগুলোর মাধ্যমে জাতির সত্যিকারে মুক্তি হয়। এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব মানুষ, সব দল। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া।
গাজীপুরে কোনো নির্বাচন হয়নি দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সচেতন মানুষ যারা সংবাদপত্র পড়েছেন, লাইন বাই লাইন পড়েন। পরিষ্কার হয়ে গেছে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।
সাবেক একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাবেক ওই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাকে বললেন, গাজীপুরে এটা কি হলো। সেখানে তো কোনো নির্বাচন হয়নি। কিভাবে দেশ চলবে, কিভাবে গণতন্ত্র ফিরে আসবে?
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটের কথা উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, প্রশ্ন হলো আমরা এই তিনটিতে কেন আবার অংশগ্রহণ করছি। উত্তর একটাই, আমরা বার বার প্রমাণ করতে চাই দলীয় সরকারের অধীনে মানুষ ভোট দিতে পারে না, নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।
তিনি আরও বলেন, সামনের তিন সিটিতে যদি খুলনা-গাজীপুরের মতো হয় তাহলে আমরা দেশের মানুষের কাছে প্রমাণ করতে পারলাম এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাই আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে সাধারণ নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো, কি করবো না।
জিয়া সাংস্কৃতিক সংস্থা (জিসাস) সভাপতি আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজীম, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিপেন দেওয়ান, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মনির খান, জাতীয়তাবাদী নারী দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/