ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রদূতদের অহেতুক কথা বলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
রাষ্ট্রদূতদের অহেতুক কথা বলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভা বক্তারা/ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বিএনপি নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলছে। তাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অহেতুক মন্তব্য না পরামর্শ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার (২৯ জুন) আয়োজিত এক আলোচনা সভার তিনি এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা বিদেশি রাষ্ট্রদূত আছেন তাদের প্রতি বলতে চাই-আপনারা বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হয়ে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক কথাবার্তা বলবেন না।

অহেতুক কথাবার্তা বললে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। জনমনে আপনাদের নিয়ে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়। কাজেই বিএনপির কথা আমলে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিন দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা সম্পর্কিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করার মুরোদ নেই, আবার হুমকি দেন। কি আন্দোলন করবেন তা জানা আছে। গত ৯ বছরে কিছুই করতে পারেন নাই। ১৪ সালের পর থেকে কেবল আন্দোলনের কথা বলছেন। কিন্তু কোনো আন্দোলনের রূপরেখা তো দেখিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব, শুধু আওয়ামী লীগ না দলটির কোনো সহযোগী সংগঠন যদি ইচ্ছা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে গণমাধ্যম। দলটি এখন প্রচার সর্বস্ব হয়ে গেছে। কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই। নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত তারা দিতে পারে না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদও বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এক হাত নেন। চার রাষ্ট্রদূতের করা গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্য বড় কোনো দেশের মতো বাংলাদেশেরও মর্যাদা আছে। আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আপনারা নাক গলাবেন না। এটা কল্যাণকর নয়, প্রয়োজনীয় নয়। আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেন না। ৭০ বছরের গণতন্ত্রের ইতিহাস ভারতে। সেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি স্থানীয় নির্বাচনে ৩০ শতাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ১২ জনের মতো নিহত হয়েছে। কই ভারতকে নিয়ে তো আপনারা কথা বলেন না। আমাদের দেশ ছোট হতে পারে। কিন্তু কোনো বড় দেশের চাইতে আমাদের মর্যাদা কম নয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি গাজীপুর নির্বাচনে এমন এক ব্যক্তিকে প্রার্থী দিয়েছে, যে আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় জড়িতের পরিবারের সদস্য। ভোটার তাকে বর্জন করেছে।

তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য নেই বলেই বিএনপির এ অবস্থা। তারা আবার জাতীয় ঐক্য কিভাবে গড়ে তুলবে। এ দলের নেতারা বোরকা পরে আদালতে হাজিরা দিতে যায়।

'শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা শিহাব রিফাত আলম। এতে অন্যদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, অধ্যাপক ড. গোলাম মওলা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।