সোমবার (০২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর গণবিরোধী কার্যকলাপ এখন বীভৎস-রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। আন্দোলনকারীদের ওপর ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, হামলা করে আন্দোলনকারীদের গুরুতর আহত করা ও পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো কখনোই সুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে না। দেশের বিবেকবান কোনও মানুষই সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এ ধরনের বিবেক বর্জিত নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন মেনে নিতে পারে না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ‘মাতা’ খালেদা জিয়ার একটি মামলায় একটি আদেশ দেয়া হয়েছে যে আদেশটি আমাদের বিম্মিত ও বিক্ষুব্ধ করেছে, গোটা জাতি আজকে বিক্ষুব্ধ হয়েছে। আপিল বিভাগ থেকে এ আদেশটি হয়েছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রণ করে খালেদাকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কারাগারে আটক রাখার চেষ্টা করছে সরকার। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা এ প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সরকারের এরকম প্রক্রিয়ায় ঘৃণা প্রকাশ করছি। ”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পরবর্তি কর্মসূচি ‘যথা সময়ে গণমাধ্যমকে’ জানানো হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন উচ্চ আদালতের বহাল রাখার পরও কেন তিনি এখনো মুক্তি পাচ্ছেন না। সারাদেশে দেশের মানুষের কাছে এটা বড় প্রশ্ন। এর প্রধান কারণ হলো নিম্ন আদালত। কুমিল্লায় ৩টি, নড়াইলে একটি ও ঢাকায় দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে। এগুলো একেবারে নিষ্ক্রিয় ও হয়রানিমূলক মামলা ছিল। এ ৬টা মামলায় অন্যান্য আসামিরাও কিন্তু জামিনে মুক্ত আছেন। বৈষম্যটা খালেদার জন্য করা হচ্ছে শুধুমাত্র তার জামিন বিলম্বিত করতে।
‘উনার বিরুদ্ধে ৩৬টা মামলায় জামিন হয়েছে। শুধু এ ৬টি ছাড়া। এসব মামলায় হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে দ্রুত নিষ্পিত্তির জন্য আদেশ দিয়েছেঠ। কিন্তু নড়াইল ও কুমিল্লার মামলায় শুনানি হলেও আদেশ দেবে যথাক্রমে ১৭ জুলাই ও ৮ আগস্ট। কত নিচু মনের সরকার। নিম্ন আদালতকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার, সেজন্য নিম্ন আদালতের বিচারকরা তাই করছেন। তা নাহলে হাইকোর্টের আদেশের পরও নিম্ন আদালতের বিচারকরা মানছেন না। এটা ভয়ংকর একটা বিষয়। এটা আদালত অবমাননার শামিল তো বটেই এটা বড় অপরাধও।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/