শনিবার (৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সর্বদলীয় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
খালেদা জিয়াকে একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, হাইকোর্ট জামিন দিলেও তাকে আমরা মুক্ত করতে পারি না। কারণ নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তারপরও আমরা এখনও আশা করি, আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে শিগগির খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো। তারপরও যদি তাকে মুক্ত করা না যায় তাহলে রাজপথই একমাত্র পথ।
নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচনের মাধ্যমে এই কমিশনের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। আমরা বার বার বলেছি, নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ এই কমিশন সরকারের তল্পিবাহক।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল জড়িত নয়। এটা দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর দাবি। তারা চায় মেধার ওপর ভিত্তি করে দেশ পরিচালিত হোক। কোটা বাতিল নিয়ে সরকার দলের বক্তব্য বিভ্রন্তিমূলক।
সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, ফরিদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, মনিরুজ্জামান মনির, জাসাসের সহ-সভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এমএইচ/আরআর