বুধবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আশঙ্কা তাকে (খালেদা জিয়া) রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গত ৩০ জুন-২০১৮ তারিখে সর্বশেষ দেখা করেছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করলেও বিভিন্নভাবে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। গত ১০ দিনে কয়েক দফা চেষ্টা করেও পরিবারের সদস্য, আইনজীবী ও দলীয় নেতারা দেখা করতে পারেননি।
জেল সুপারকে বললে তিনি বলেন, আইজিপ্রিজনকে বলতে। আইজিপ্রিজনকে বললে তিনি বলেন, মন্ত্রীকে বলেন। মন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি বলেন, এক নম্বরের সম্মতি ছাড়া আমার পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।
কারাবিধির ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী, আইনজীবী ও যুক্তিযুক্ত কারণে যে কোনো ব্যক্তি কারাগারে আটক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাছাড়া খালেদা জিয়া এক নম্বর ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে মাসে চারবার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
‘যেখানে জেলসুপারই অথরিটি সেখানে কারাবিধি লঙ্ঘন করে সাক্ষাতের জন্য যদি দেশের এক নম্বর ব্যক্তির কাছে যেতে হয়, তাহলেতো আর এই দেশে কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। ’
তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এমএইচ/এএ