বুধবার (১১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত মামলার বাদী আবু সাঈদের বক্তব্য শুনে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে এবি সিদ্দিকী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
আবেদন তিনি উল্লেখ করেন, গত ৯ জুলাই আদালতে দাখিল করা মামলাটির প্রতিবেদনে শাহবাগ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর জাফর আলী এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন মর্মে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই আসামিদের আদালতে হাজির করতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া প্রয়োজন।
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।
‘খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা দণ্ডবিধি ৫০০ ধারার অপরাধ’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এমআই/এএ