শনিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় এ বুদ্ধিজীবী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
সারাদেশ থেকে জিয়া পরিষদের কয়েকশ’ নেতাকর্মী বুদ্ধিজীবী সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু রমনা থানা পুলিশ সমাবেশস্থলে এসে জানায়, লিখিত অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না।
সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি এখানে অতিথি হিসেবে এসেছিলাম। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশ ছিল। কিন্তু পুলিশ এই সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। কেন জানতে চাইলে তারা বলেছে, অনুমতি নেই।
‘এটা চরম স্বৈরাচারী একটা ব্যবহার’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে তারা এটা করছে। সমস্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এটাই বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা যে, ভিন্নমতের কোনো মানুষকে, কোনো সংগঠনকে তারা দাঁড়াতে দিচ্ছে না। আজকে এই সরকার ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এভাবে তারা জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করছে, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আমি এখানে একজন অতিথি হিসেবে এসেছি। আমি এসেই দেখলাম সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রতিবাদ করছি, সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছি। তারা ন্যূনতম স্বাধীনতা, সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এটা অত্যন্ত পরিতাপের কথা, ক্ষোভের কথা। আজকে বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বিভাগ ভয়ঙ্কর একটা দুঃশাসনের কাজ করছে। অত্যাচার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রমনা জোনের ডিসির কাছে লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। তিনি আমাদের মৌখিকভাবে বলেছিলেন, সমাবেশ করতে। কিন্তু আজকে এখানে আসার পর পুলিশ বলছে লিখিত অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না। এখন আমরা সবাই ফিরে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ