ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা-তারেককে সরাতে আরপিও সংশোধনের আশঙ্কা ফখরুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
খালেদা-তারেককে সরাতে আরপিও সংশোধনের আশঙ্কা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা

ঢাকা: বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে দলীয় গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সর্বসম্মত প্রস্তাবে বিলুপ্ত সাত ধারার অনুরূপ একটি ধারা নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংযোজন করার অপচেষ্টা চলছে। এরপর ওই ধারার দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে বিএনপির নেতৃত্ব থেকে সরানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।  

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১১ জুলাই জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএনপি গঠনতন্ত্রের সাত ধারা পরিবর্তন করলো কেন।

’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য উদ্ভট অলীক ও অন্তসারশূন্য।

তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মঈন-ফখরুদ্দীন যে কায়দায় বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছিল সেই একই কায়দায় এখন পুনরায় বিছানো হচ্ছে ষড়যন্ত্রের জাল। বিএনপির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হবে। এরই অংশ হিসেবে সরকারের সংস্থাগুলো নানামুখী তৎপরতায় যুক্ত হয়ে পড়েছে। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে, সরকার তার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংক্রান্ত কিছু উদ্দেশ্যপূর্ণ রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করার জন্য মাঠে নেমেছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে জাতীয় সম্মেলনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে সাত ধারা বাতিলসহ গঠনতন্ত্রে সর্বশেষ সংশোধন করা হয়। যা পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তিনি হাঁটতে পারছেন না জানিয়ে ফখরুল বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা শনিবার (১৪ জুলাই) কারাগারে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।  

তিনি বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি তাকে কারাগার থেকে বের করে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হোক। কিন্তু সরকার আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সিএমএইচে নিতে চান, যেখানে খালেদা জিয়া যেতে চান না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তার অসুস্থতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যে তিনি আর সেখান থেকে ফিরে না আসতে পারেন। আল্লাহ না করুক, খালেদা জিয়ার জীবনের প্রতি যদি হুমকি সৃষ্টি হয়, তার সমস্ত দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় সব দায়িত্ব নিতে হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা আসাদুল করীম শাহীন, আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।