ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হামলাকারী কার বিচার চান, প্রশ্ন মোশাররফের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
হামলাকারী কার বিচার চান, প্রশ্ন মোশাররফের অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলাকারী সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চেয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন থাকলে এই মামলাটি গ্রহণযোগ্যই নয়। সেই মিথ্যা মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত থেকে দলবলসহ লাঠিসোটা নিয়ে এ ধরনের ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। 

‘যার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে তিনি কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, তিনিও নাকি বিচার চান। তিনি কার বিচার চান।



বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, মাহমুদুর রহমানের আক্রমণ শুধু তার একার ওপর আক্রমণ নয়। তিনি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক, এটা সব সংবাদপত্রের সম্পাদকের ওপর আক্রমণ। এ আক্রমণ মানবিক অধিকারের বিরুদ্ধে। সংবাদপত্রের ওপর সরকার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সেই নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই এ আক্রমণ।

এদেশের প্রত্যেকটি মানুষ স্যোশাল মিডিয়া ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এ ঘটনা দেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই দেখতে পেলেও পুলিশ দেখছে না, এখনো খুঁজে পাচ্ছে না। এদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ লুট হয়, কারা চিহ্নিত করতে পারেন না। কারণ তাদের লোকেরা করেছে। ভোল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি হয়, অর্থমন্ত্রী বলছেন এটা কিছু না। কারণ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এগুলো করেছে। শেয়ার মার্কেটে যারা লুট করেছে তাদের তারা দেখতে পান না। মাহমুদুর রহমানের ওপর যারা হামলা করেছে তাদেরও খুঁজে পাবেন না। কারণ তারা আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্ত।

হামলাকারীদের উদ্দেশে ড. মোশাররফ বলেন, আপনারা যারা এসব করছেন, যাদের হুকুমে করছেন তারা কিন্তু বাতাস বদল হয়ে গেলে এদেশে থাকবে না। তারা বিদেশে চলে যাবে। এই পুলিশই তখন ছবি দেখে দেখে আপনাদের খুঁজে খুঁজে বের করবে।

আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর কুষ্টিয়ায় হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এ অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের (একাংশের) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিউইজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের যুগ্ম-মহাসচিব শাহিন হাসনাত, বিএনপির প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।