বুধবার (২৫ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ও মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপরে পরিকল্পিতভাবে আঘাত করা হয়েছে দাবি করেছেন মওদুদ।
শফিক রেহমানসহ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ছাড়া বাকিরা সব শেষ হয়ে গেছে দাবি করে মওদুদ বলেন, যারা আগে বুদ্ধিজীবী দাবি করতো, তারা তাদের বুদ্ধি বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা এখন আর তাদের বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করেন না। তারা এখন সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন।
‘দেশে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ দুই রকম’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা সরকারি দল করেন তাদের প্রতি আইনের প্রয়োগ এক রকম হয় অর্থাৎ আইনের প্রয়োগ হয় না। আর যারা সরকারের বিরোধিতা করেন তাদের বিরুদ্ধে সেই আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ হলো রাজপথ। এছাড়া বিকল্প নাই। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করেছি, করে যাব, কিন্তু তাতে কোনো ফল পাওয়া যাবে। কারণ আদালতের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব এখন প্রচণ্ড। নিম্ন আদালতের বিচারকদের কোনো স্বাধীনতা নেই।
আয়োজক সংগঠন ‘চেতনা বাংলাদেশ’ এর সভাপতি ও দোহার উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এমএ