বুধবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার মৃত্যু দিনে যারা কেক কাটে ভুয়া জন্মদিন পালন করে তাদের সঙ্গে কীভাবে সংলাপ হবে? কয়টা জন্মদিন রয়েছে? স্কুলের পরীক্ষার এক রকম, বিয়ের কাগজে এক রকম, পাসপোর্টে এক রকম। এরকম পাঁচটি জন্মদিবস। ভুয়ার মধ্যে কোনটি সঠিক? এই জন্মদিন পালনের জন্য যদি ক্ষমা না চান, দুঃখ প্রকাশ না করেন তাহলে তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না।
‘গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ডিনারের আমন্ত্রণে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অশালীন বাক্যালাপ করা হলো। তারপরেও নেত্রী বলেছিলেন আসুন কথা বলি। সেদিনের ইতিহাস কি জাতি ভুলে গেছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের কারা বিদেশে যেতে সহযোগিতা করেছিল, দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল? ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে হন্তারকদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল? তাদের সঙ্গে কীভাবে সংলাপ হবে? হত্যা করা ও উৎসাহ দেওয়া একই অপরাধ।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ঢাবি শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এসকেবি/এএ