বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে শেষ হওয়া পাঁচটি সিটি নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি একটি ও আওয়ামী লীগ চারটিতে জয়লাভ করেছে। ২০১৩ সালে কিন্তু বিএনপি পাঁচটি সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) শহরের গাজীপুর রোডের নিজ বাসভবনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় চলা আন্দোলন সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি দাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেনে নিয়েছেন।
এসময় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এ প্রজন্মের ছাত্রসমাজ ঘরে ফিরে যাবে এবং তারা এমন কিছু করবে না যাতে দেশের সুনাম নষ্ট হয়।
বিএনপি’র সঙ্গে সংলাপের সুযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী তাদের ডেকেছিলেন। কিন্তু তারা (বিএনপি) আসেননি। এখন সংলাপ সংলাপ করছে, এখন আর সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য যা করেছেন তা অন্য কেউ করতে পারেনি। দেশ আজ অনেক উচ্চতায়। সমূদ্রসীমা, আকাশসীমা জয়সহ তার সরকারের রয়েছে ব্যাপক সাফল্য।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন হবে ক্ষমতাশীন দলের অধীনে ও সংবিধান অনুসারে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি জোর জবরদস্তি করতে চায়। কিন্তু তারা তা পারবে না।
এসময় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সহ-সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনূছ, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু, সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
আরএ