হল ছাড়ার নির্দেশ পাওয়া নেতা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, আর বহিষ্কৃত নেতা হলেন একই হলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রায়হান।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক এন এইচ সাজ্জাদের রুমে যান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব রায়হান ওরফে রনি।
ঘটনার পর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়। এই ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।
গোলাম রাব্বানী বলেন, মেহেদী হল ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা। এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে তাকে আজকের মধ্যে হল থেকে বের হয়ে যেতে হবে নইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। কারণ আমাদের এক সাংবাদিক ভাইকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। এ ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।
মঙ্গলবার ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা শেষে টিএসসিতে প্রটোকল দেওয়া নিয়ে হাতাহাতি হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মেহেদী ক্ষুব্ধ হন। মদ খাওয়া নিয়ে মারামারি করার কারণে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এই ছাত্রলীগ নেতাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এসকেবি/আরআর