তবে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা। পাশাপাশি কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও তোলা হয়েছে।
রোববার (১৯ আগস্ট) ঘোষিত ওই কমিটিতে বরিশাল মহানগরের সভাপতি হয়েছেন রেজাউল করিম রনি। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে।
সংক্ষিপ্ত কমিটিতে তারিকুল ইসলাম তরিককে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাহমুদুল হাসান তানজিলকে যুগ্ম সম্পাদক ও এনামুল হাসান তসলিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন মাহফুজুল আলম মিঠু ও কামরুল আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এ কমিটিতে তারেক আল ইমরানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, তৌফিকুল ইসলাম ইমরানকে যুগ্ম সম্পাদক ও মো. সোহেল রাঢ়ীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
মহানগর ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে কেউ অভিযোগ না তুললেও জেলা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জেলা কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়া মো. সোহেল রাঢ়ী তার পদকে প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এটা একটি পকেট কমিটি। যারা এতোদিন যারা দলের হয়ে কাজকর্ম করেছেন তাদের কমিটির নিচের দিকে রাখা হয়েছে। আমি আমার পদ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমি ধানের শীষের ভোটার আমার পদের প্রয়োজন নেই।
কমিটিতে পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, কমিটি কিভাবে এবং কাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছি না। দলের হয়ে যারা রাজপথে থেকে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন তারা কমিটিতে নেই। কামরুল নামের একজনকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, তিনি কোথায় থেকে এলেন তা কেউ বলতে পারছে না। তার বাড়ি কাজীরচরে রাজীব আহসানের বাড়ির পাশে এটুকুই শুধু জানি।
এর আগে শনিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের বাস ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
এর আগে ২০১১ সালে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে খন্দকার আবুল হাসান লিমন এবং জেলায় মাসুদ হাসান মামুনকে আহ্বায়ক করা হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এমএস/এমএ