১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা যাদের মাইনাস করেছিলাম, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজাকার, জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক চক্রকে প্লাস করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এসময় বলেন, জামায়াত ও খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার যে কর্মযজ্ঞ চলছে, তা শেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়েই রাজাকার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা চিরতরে বিদায় নেবে। আর তাহলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ এগিয়ে যাবে।
যারা সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন চায়, তারা মূলত জামায়াত ও দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে হালাল করতে চায়। নির্বাচনে কে এলো আর কে এলো না এটা কোনো বিষয় নয়। সাংবিধানিকভাবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এখানে দেন-দরবার বা মীমাংসার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এদিকে, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো পর এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি।
তিনি বলেন, আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের দেশেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না তা একান্ত তাদের ব্যাপার। তবে, গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে, এবার তারা সে ভুল করবে না। এ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলই অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য ও তথ্যমন্ত্রীসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে দুই মন্ত্রী আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসদের অপর অংশ বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরণ রায়, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদত হোসেন, গণ আজাদী লীগ সভাপতি এস কে সিকদার, জাতীয় পার্টি (জেপি)এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, ন্যাপ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা জাসদের সভাপতি শেখ মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি বদর খান ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক শেখ মহব্বত-ই-আনোয়ার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম সাহাবুদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ ওরফে বি মোল্লা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এসআই