বৃহস্পতিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিরাজ বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছাত্রলীগের দাবি কলেজ ক্যাম্পাসে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা ছেলেটি বহিরাগত। প্রাথমিকভাবে তাকে কেউ চিনতে পারেনি।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন হোসেন বলেন, সকালে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষে এক বহিরাগত ছেলে এবং কলেজের একটি মেয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ওই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী মিরাজ তার প্রতিবাদ করে। ঘটনাটি অধ্যক্ষকে জানানো হয়। সে সেময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আমরাও উপস্থিত ছিলাম। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে তার কক্ষে নিয়ে আসতে বলেন। সে সময় বহিরাগত ওই ছেলের সঙ্গে মিরাজের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বহিরাগত ওই ছেলেটি ফোনে তার বন্ধুদের কলেজ ক্যাম্পাসে ডেকে এনে মিরাজকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় আমরা মিরাজকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে।
সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদীর জানান, যে ছেলেটি আহত হয়েছে সে প্রতিবাদী ছেলে। এর আগেও অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ সে করেছে। আমরা শিক্ষকরা তাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি।
এ ব্যাপারে কলেজের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১৮
আরএ