তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকেও চাই না, বিএনপিকেও চাই না। আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমদূরত্বে রেখে জাতীয় করতে চাই।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) কৃষক লীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধী সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি চাই বঙ্গবন্ধু যাতে ধ্বংস না হয়। খালেদা জিয়া যেন নিগৃহীত না হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারালে আমার কোনো কথা নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা নিগৃহীত হলে, তার অসম্মান হলে আমি চুপ থাকবো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যেমন চুপ থাকিনি, শেখ হাসিনার কিছু হলেও মেনে নেব না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিরোধ সংগ্রামে যারা নিহত হন তাদের জন্য সংসদে শোক প্রস্তাব আনার চেষ্টা করেছি। সংসদে চার বার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাই আমি বলে যাচ্ছি আমি সংসদ সদস্য থাকি আর সাবেক সংসদ সদস্য থাকি না কেন আমার মৃত্যুর পর আমার জানাজা যেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় না হয়। আমাকে যেন গার্ড অব অনার দেওয়া না হয়।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে তার বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি ছিলো না আমাকে বহিষ্কার করার। আমি আওয়ামী লীগকে বহিষ্কার করেছি। আমি পদত্যাগপত্র পাঠানোর ৭/৮ দিন পর আমাকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ১ আগস্ট থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু ১৪ আগস্ট পর্যন্ত স্বাভাবিক কাজ কর্ম করেছেন। তার মানে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি যে কাজ করেছিলেন তার সেই সব কর্মকাণ্ড মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে এরা। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলো আজ তাদের কেউ কেউ মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ জন্য আমি আওয়ামী লীগ করি না, আওয়ামী লীগে নেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা প্রতিরোধ সংগ্রাম করেছিলেন সেই প্রতিরোধ সংগ্রামের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে অথবা অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে প্রতিরোধ সংগ্রামীদের ঢাকায় ডেকে সমাবেশের ব্যবস্থা করবো। সেই সমাবেশে আমি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। তিনি যেন দয়া করে এসে এ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কথা শোনেন।
এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রতিরোধী সংগ্রামে অংশ নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদেরও কয়েকজন স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এসকে/এসএইচ