ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইভিএম বাদ না দিলে ২০ সেপ্টেম্বর ইসি ঘেরাও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
ইভিএম বাদ না দিলে ২০ সেপ্টেম্বর ইসি ঘেরাও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বক্তারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ ঘোষণা দেন।
 
তিনি বলেন, আমরা যখন ইসির সঙ্গে সংলাপ করেছি তারা বলেছে- আপনারা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কেন? সবাই (৩৯টি রাজনৈতিক দল) একমত না হলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।

কিন্তু আকষ্মিকভাবে এখন ইভিএম ব্যবহারের উদ্দেশে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা হচ্ছে। কেননা, এটা সরকারের একটা এজেণ্ডা। সরকার বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো এবার আর কারচুপি করা যাবে না। তাই ১০০ আসনে জয় পেতে ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপির চেষ্টা করছে।
 
তাই আমরা দাবি জানিয়েছি- তফসিল ঘোষণার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, ইভিএম বাতিল করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আমরা সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। ঢাকায় সেদিন বিকেল ৪টায় কর্মসূচি পালিত হবে। এতে আমাদের দাবি না মানা হলে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ইসি ঘেরাও করা হবে।
 
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনাইদ সাকি বলেন, দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সবার মতামতকে উপেক্ষা করে, যেখানে অধিকাংশ দল ইভিএম চায় না। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশ পালন করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো নির্বাচন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক।
 
তিনি বলেন, যন্ত্র নিজে নিজে সমস্যার সমাধান করতে পারে না। যন্ত্র নিজে নিজে কাজ করতে পারে না। তাই এটা যারা চালাবে তাদের ওপর আস্থার অভাব রয়েছে। কেননা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন দলের লোকের পক্ষেই কাজ করে। তাই তাদের ওপর আস্থা নেই। আমরা অবশ্যই প্রযুক্তি চাই। কিন্তু তার আগে আস্থা অর্জন করতে হবে।
 
জুনাইদ সাকি বলেন, ভারতের দিল্লির বিধান সভার নির্বাচনে কি করে ইভিএম দিয়ে কারচুপি করা হয়, তা এনডিটিভি দেখিয়েছে। এরপর ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ সব দল নির্বাচন কমিশনকে এ যন্ত্র আর ব্যবহার না করার জন্য বলেছে। আমাদের এখানেও এ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে এ যন্ত্র ব্যবহারের প্রক্রিয়া স্থগিত করতে হবে।
 
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদ সদস্য বজলুর রমীদ ফিরোজ, জোট নেতা মোশরেফা মিশু, মোশারফ হোসেন নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বক্তারা বলেন, আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে এ যন্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
 
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অধিকাংশের মতামতকে উপেক্ষা করে ডিজিটাল কারচুপির অসৎ উদ্দেশে বিতর্কিত ও স্বচ্ছতাবিহীন ইভিএম চালুর বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
 
সমাবেশ শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।