রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পলাশীর মোড়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্বক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশে দুই ধরনের শত্রু আছে। একটি হচ্ছে প্রকাশ্য শত্রু, আরেকটি গোপন ছদ্মবেশী শত্রু। আমি প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে গোপন ছদ্মবেশী শত্রুকে বেশি ভয় পাই। এদের আগামী নির্বাচনে প্রতিরোধ করতে হবে।
নাম উল্লেখ না করে ড. কামাল হোসেন ও বি চৌধুরীকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাজনীতি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারাই আবার পুরনো সুরে কে যেন ডাকে...। প্রমাণ হয়েছে কাজ হবে না। এদেশের জনগণই ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিরোধ করবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্নের জবাবে দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন হবে, আর সেই নির্বাচন হবে একটি উৎসবমুখোর পরিবেশে। আজ যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মষ্টমীতে উৎসব হচ্ছে, তেমনি উৎসবমুখোর পরিবেশে নির্বাচন হবে।
‘যারা পার্লামেন্ট নিয়ে নানা কথা বলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট বসবে। এটা বর্তমান সরকারের শেষ অধিবেশন। এরপর আর কোনো অধিবেশন বসবে না। এই অধিবেশনের পর সংসদ সদস্যরা যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছিলেন সেগুলো আর ভোগ করতে পারবেন না। তাদের সুযোগ-সুবিধা নির্বাচন কমিশনের আচারণবিধিতেই আটকে যাবে। কাজেই এ নিয়ে অহেতুক বির্তক সৃষ্টি করার অবকাশ নেই। ’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কি ২০০১ সালের কথা মনে আছে? কত হিন্দুর বাড়ি-ঘর পুড়েছে, কতজন ধর্ষিত হয়েছেন। আপনারা কি ফাহিমা, পূর্ণিমাদের কথা ভুলে গেছেন? এই বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে আরও অন্ধকার নেমে আসবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসলে ২০০১ সালের চাইতে ভয়াবহ সময় আপনাদের জন্য অনিবার্য। আপনারা বিশ্বাস করেন?
তিনি বলেন, এই দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের মর্যাদা, আত্মমর্যাদা, সম্মান যদি রক্ষা করতে চান তাহলে শেখ হাসিনার
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮/আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা
এসএম/এএ