আমরা কখনো বিএনপির মিছিল, মিটিংসহ কোনো কর্মসূচিতে ছিলাম না। এমনকি আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।
বিএনপির কমিটি থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আমাদের নাম প্রত্যাহারের জন্য ইতোমধ্যে মাউলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাদের বলা হয়েছে। তবে এখানো কোনো সুফল মেলেনি।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের নড়াগাতি থানার মহাজন বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ভূক্তভোগী কাঠাদুরা গ্রামের তুষার গাজী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অপর দুই ভূক্তভোগী নড়াগাতি থানার তপসীডাঙ্গা গ্রামের আশরাফ সরদার ও মহাজন এলাকার গুরুপদ সাহাসহ নড়াগাতি থানা যুবলীগের আহ্বায়ক হাদিউজ্জমান হাদী, মাউলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাব্বির হোসেন মোল্যা, মাউলি ইউনিয়ন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শাহিনা আক্তার ঝর্ণা প্রমুখ।
নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য ও নড়াগাতি থানা যুবলীগের আহ্বায়ক হাদিউজ্জমান হাদী বলেন, তুষার, আশরাফ ও গুরুপদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। স্বার্থান্বেষী একটি মহল এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এরা আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, আশরাফ সরদারকে নড়াইলের মাউলি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, গুরুপদ সাহাকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তুষার গাজীকে মাউলি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
আশরাফ সরদার বলেন, বিএনপির কমিটি থেকে আমাদের নাম বাদ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মাউলি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক মোল্যাকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে মাউলি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ হোসেন ইলিয়াস বলেন, পারিবারিক ও অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় তিনবছর আমি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছি। আমার জানা মতে তুষার গাজী যুবদলের সঙ্গে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
আরএ