শপথ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাবেক ফুটবলার ও সফল ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে নিয়োজিত থেকে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যায়, কিন্তু বৃহৎ পরিসরে জনগণের সেবা করার সুযোগ খুব একটা হয়না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন।
আপনার এলাকার জন্য নতুন কি চমক উপহার দেবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি থাকতে আমার এলাকার কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, টাকার অভাবে কারও লেখাপড়া বন্ধ হবে না।
খুলনা-৪ আসন নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া নিয়ে আমি এরইমধ্যে স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী কিছু পরিকল্পনা করেছি। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে অন্যান্য ব্যবসায়ী বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাবো খুলনায় বিনিয়োগের জন্য।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হলে আর রেললাইন চালু হলে খুলনা অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে। এখানে সেবাখাতে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এসবক্ষেত্র কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। আমার হাতে হয়তো খুব বেশি সময় নেই, তারপরেও কাজের একটা পরিকল্পনা করে রেখেছি। আশাকরি ব্যবসায় যেমন সফল হয়েছি, খেলাধুলায় যেমন সফল হয়েছি রাজনীতিতেও সফল হব।
নবীন এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী মানুষ হিসেবে চাইবো মোংলা বন্দর পুরোপুরি কাজে লাগাতে। এজন্য যা যা করার দরকার আমি করব। খুলনার উন্নয়ন হলে ওই অঞ্চলের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমার লক্ষ্য হবে বিনিয়োগকারীদের খুলনায় বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সেই কাজ আমার জন্য খুব কঠিন হবে না। তাছাড়া আমাদের ব্যবসায়ী বন্ধুরাও বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী।
আগের সংসদ সদস্যদের স্মরণ করে তিনি বলেন, আগে যারা এই অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন তারা সবাই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু উন্নয়নের প্রতিফলন সেইভাবে হয়নি, যেভাবে বাকি অঞ্চলে হয়েছে। আগামী ১০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
একজন সাবেক ফুটবলার এবং বর্তমান এমপি হিসেবে দেশের ফুটবলকে কোথায় দেখতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার প্রথম কাজ হবে এলাকার মানুষের জন্য কিছু করা। এরপর যতটুক সময় পারি ফুটবলের উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি করব।
খুলনায় আওয়ামী লীগকে আরও সংগঠিত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, আগে যারা কাজ করেছেন সবাই ভালো করেছেন। আমি আমার এলাকার নেতাকর্মীদের পরামর্শ নিয়ে খুলনায় আওয়ামী লীগকে আরও সংগঠিত করতে চাই।
খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুতে তার আসনটি শূন্য ঘোষণা হলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সাবেক ফুটবলার এবং এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
বর্তমান সরকারের মেয়াদের একেবারে শেষ সময়ে এসে এমপি হলেন তিনি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া শেষ অধিবেশনই হবে সালাম মুর্শেদীর জীবনে এমপি হিসেবে যোগদানের প্রথম অধিবেশন। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সালাম মুর্শেদীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হিসেবে ধরছেন তার অনুসারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এসএম/এনএইচটি