বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় একজন আরেক জনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছে, একে অপরের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা যে কারো থাকতে পারে। কিন্তু প্রার্থী হয়ে একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবে, গ্রুপিং করবে এগুলো গ্রহণযোগ্য না।
দলের অনুমতি ছাড়া কেউ কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে জানান তিনি।
এ ধরনের বিভেদ সৃষ্টিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। কারা দলে সমস্যা সৃষ্টি করছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন সাংগঠনিক সম্পাদকদের। এক্ষেত্রে সাংগঠনিক সম্পাদকদের বিনা নোটিশে জেলা-উপজেলা সফরের নির্দেশ দেন দলের নেতা।
বিভেদ সৃষ্টিকারীদের নোটিশ দেওয়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা। নোটিশে কাজ না হলে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বহিষ্কার করতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সিলেট সিটি নির্বাচনের সময় সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিদেশ ছিলেন কেন তার খোঁজ নিতে বলেন শেখ হাসিনা।
সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন কিছু কিছু সংসদ সদস্যের সমালোচনা করে বলেন, দারোয়ান, পিয়ন, সুইপার নিয়োগে এমপিরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। একেক জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। এতে দলের বদনাম হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এসএইচ