শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ বাংলাদেশ অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরাজিত হচ্ছে, সরকার পথ খুঁজছে। মরিয়া হয়ে পালাবার পথ খুঁজছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হোটেল লা মেরিডিয়ানে দলের নির্বাহী কমিটির সভায় বলেছিলেন, আমি হয়তো কারাগারে চলে যাব। কিন্তু আপনারা সব গণতন্ত্রকামী দলকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবেন। এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাবেন। এখন একটা জাতীয় ঐক্য দরকার। সমস্ত জাতির ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের একটা ভুল ধারণা আছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না জাতীয় ঐক্যের নেতারা। আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে সবাই একমত।
কারাগারে খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য আদালত স্থানান্তরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কারাগারে আদালত স্থানান্তর করা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। সেখানে ক্যামেরা ট্রায়াল করা হচ্ছে। এটা কোনো আদালত নয়। এটাকে বাংলায় বলা যায় গুহা।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অপরাধ তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। একমাত্র এই কারণেই তার সঙ্গে এটা করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন-সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা। সভা শেষে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচ/আরআর