শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এ সাংগঠনিক সফর শুরু হয়।
রাজধানী অতিক্রম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দুই পাশে জনতার স্রোত নামে।
প্রত্যেকটি পথসভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে বলেন ওবায়দুল কাদের। প্রথমে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ মাঠের সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
এরপর চৌদ্দগ্রাম স্কুল মাঠের জনসভাও ছিল জনতার ঢল। বাদ যায়নি ফেনীর ট্রাংক রোড কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন পথসভাও।
ফেনীর সভায় আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মানুষের হাঁসি ফোটান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ দলকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয় না, হবে না।
কাদের বলেন, আজ ফেনীর মানুষের যে জনসমুদ্র দেখতে পাচ্ছি, তাতে আমি অভিভূত। আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলছি, ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না, মশার ভেতর মশারি টাঙাবেন না। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবার আমলনামা আছে, যিনি জনপ্রিয় তিনিই মনোনয়ন পাবেন।
বিএনপি মহাসচিবের জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠককে ভুয়া বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একটি নালিশ পার্টি। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ছাড়া কিছুই বুঝে না। তারা বিভিন্ন দেশে ঘুরে নিজের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এসময় আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা কোটা আন্দোলনে ভর করেছিল; পারেনি। ছাত্র আন্দোলনে ভর করেছিল; পারেনি। এখন জাতিসংঘের কাছে নালিশ করছে। তাদের কথা শুনবে? তাদের বৈঠক ভু্য়া। এই দলই হচ্ছে প্রতারকের দল, মিথ্যাচারের দল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলে ঈদের পর আন্দোলন করবে। একবার বলে রোজার ঈদের পর, আরেকবার বলে কোরবানির ঈদের পর। এভাবে দেখতে দেখতে ১০ বছর গেলো আন্দোলন হবে কোন বছর? মানুষের আয়ু কয় বছর? মানুষ মারা গেলে আন্দোলন করবে? সোহরাওয়ার্দী উদ্যান খুলে দেওয়া হয়েছিল, সমাবেশ করে নাই। কারণ লোক হবে না।
অক্টোবরে নৌকার প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়ে কাদের বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান। আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নাই। আওয়ামী লীগের বিকল্প আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসলে এদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।
প্রথম দিনের সাংগঠনিক সফরে সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও স্থানীয় জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এসএম/টিএ