তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নীতিগত আপত্তি নেই—এমন বক্তব্য আমি দেইনি। আমি বলেছি, আমাদের দাবি পূরণ হলে এবং নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক থাকলে আমরা নির্বাচনে যেতে রাজি আছি।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মতিঝিলে তার চেম্বারে অনুষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতাদের যৌথসভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘পরোয়ানা ছাড়া যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি, গ্রেফতার ও জব্দ করার জন্য পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়াসহ যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। ’ এসময় তিনি অবিলম্বে এ আইন বাতিলের দাবি জানান।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে ড. কামাল হোসেন রাজি আছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বাংলায় বলা হয়। বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো ও ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নীতিগতভাবে ড. কামাল হোসেন রাজি আছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, বিকল্পধারার সাংগঠনিক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যকে এগিয়ে নিতে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বিকেল ৪টায় একটি বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ’
বিএনপিকেও ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
আরএ