বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছ থেকে আমরা অভিভাবকসুলভ আচরণ ও কথাবার্তা আশা করি। আমার রাজনীতির ৪৫ বছর।
`এছাড়া যুবলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। সেইসঙ্গে বার কাউন্সিলে দুইবার নির্বাচিত হয়ে আইনজীবীদের নেতৃত্ব দিয়েছি। আর এখন অর্থমন্ত্রী আমাকে বললেন ইউজলেস!'
সিলেট-১ আসনের সম্ভাব্য এ প্রার্থী বলেন, অর্থমন্ত্রী মনে হয় ,আমার রাজনৈতিক ইতিহাসটা জেনে এ কথা বলেননি। রাজনীতির তৃণমূল থেকে আমার এই পর্যায়ে উঠে আসা। দেশরত্ন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বারবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক করেছেন। তিনি কখনও কোনো ইউজলেস মানুষকে নেতৃত্বে নিয়ে আসেন না। তাই আমি বলবো, তিনি (অর্থমন্ত্রী) সিলেটের অভিভাবক। তার কাছ থেকে আমরা সেই রকম আচরণ ও কথাবার্তা আশা করি।
এর আগে বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হাডউই শেফারের সঙ্গে আলোচনা শেষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ‘মিসবাহ সিরাজ-ফরাসউদ্দীন আর ইউজলেস নেইম’ বলে মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী আসনে তিনজনের মনোনয়ন চাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তখন বলেন, ‘প্রার্থী তো থাকবেই। সেখানে আমার ব্রাদার (ড. মোমেন), ফরাসউদ্দীন ও মেজবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ফরাসউদ্দীন ইউজলেস নেইম। হ্যা, সিরাজ-ফরাসউদ্দীন আর ইউজলেস নেইম। ’
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমি প্রার্থী হচ্ছি না, তবে দলের জন্য কাজ করতে চাই, করে যাবো। ’
এদিকে, এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সিলেট-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ড. ফরাসউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এনইউ/টিএ