তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে তারা রাষ্ট্রের বারোটা বাজাচ্ছে। তারা বলে আলোচনার ভিত্তিতে দেশ চালাচ্ছি।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের অপরিহার্যতা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা সংবিধানে লিখেছিলাম রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। কিন্তু রাষ্ট্রের মালিক জনগণ থাকে না। যারা ক্ষমতায় থাকে তারা হয় রাষ্ট্রের মালিক। আজকে পূর্বশর্ত হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। জনগণকে রাষ্ট্রের আসল মালিক হতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। পাগল-ছাগলরা দেশ চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগে ৪০ জন শিক্ষক থাকে কী করে। এটা বিশ্বের কোথাও নেই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা দল করে তারা দলীয় ভিত্তিতে সব পেয়ে যাচ্ছে। আর যারা দল করে না তারা কিছুই পাচ্ছে না। জনগণকে নিয়ে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা করতে চাই।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার মনে আছে গত নির্বাচনের আগে বলা হয়েছিলো এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে আরেকটি নির্বাচন দেব। ৫ বছর চলে যাচ্ছে সেটা কি হয়েছে? হয়নি। কেন এইভাবে দেশ শাসন করা হলো। এ কারণেই তো সংকট। এখন আবার নির্বাচনের কথা শোনা যাচ্ছে। মনোনয়নের জন্য ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে। আপার পায়ের ধূলো নেওয়ার জন্য ঘুরছে। এই পায়ের ধূলো নেওয়ার সংস্কৃতি চলবে না। এই সংস্কৃতি বাদ দিতে হবে। স্বাধীন দেশে পায়ের ধূলো নেওয়া থাকবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মনে করেছিলো বাংলাদেশ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ হয়নি। আজ ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাসদ (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারি, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উদ্দিন খোকন, ঐক্য প্রক্রিয়া ও গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ