‘আর যদি ২০১৪ সালের মতো নাশকতা-সহিংসতা করে তাহলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণকে সংগঠিত করে তাদের প্রতিরোধ-প্রতিহত করা হবে।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সস্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সমাবেশে উপস্থিতি দেখে প্রমাণ হয়েছে এ দলটির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
ওবায়দুল কাদের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবি উচিয়ে ধরে বলেন, বিএনপি সমাবেশে হাতাহাতি, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের সূচনাও হয়েছে হাতাহাতির মধ্য দিয়ে। বিএনপি সমাবেশের আগে যে হাক-ডাক করলো, কি হয়েছে। আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই সার। আমরা উত্তরবঙ্গে নীলফামারী ও কক্সবাজার যাত্রা করেছি। বড় বড় সমাবেশ, জনসভা হয়েছে। সেই তুলনায় বিএনপির এ সমাবেশ কিছুই না। আমাদের সমাবেশে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। শাসক দল যে কতটুকু সুশৃঙ্খল তার প্রমাণ আমরা দেখিয়েছি। আর বিএনপির সমাবেশ দেখে প্রমাণ হয়েছে ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে দলটি। জন বিচ্ছিন্ন, নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে দলটি জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। এ সময় তিনি আরেকটি ছবি দেখিয়ে বলেন, তারা মঞ্চে সেলফি তুলেছে। এ হলো বিএনপি।
কাদের আরও বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই পবিত্র সংবিধান পরিবর্তন, সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে তার সহযোগিতা করবে।
এ সময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে তাহলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। আর যদি আন্দোলনের নামে ২০১৪ সালের মতো সংহিসতা, নাশকতা, বোমাবাজি, সন্ত্রাস করে সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে তাহলে প্রশাসনিকভাবে যা যা করণীয় করা হবে। আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ, প্রতিহত করবো।
এদিকে সম্পাদক মন্ডলির এ সভা থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশে গণসংযোগের কর্মসূচি নেওয়া হয়। ১ অক্টোবর থেকে সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড পর্যায়ে গণসংযোগে অংশ নেবেন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা লিফলেট বিতরণ করবেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের জন্য ৪টি টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিমগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন ১ নম্বর টিমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ২ নম্বর টিমে ডা. দীপু মণি, ৩ নম্বর টিমে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ৪ নম্বর টিমে আব্দুর রহমান। ১ অক্টোবর এ টিমগুলো বিকেল ৩টা থেকে ওয়ারি, উত্তরা, মোহাম্মদপুর ও পল্টন থানার তিনটি করে ওয়ার্ডে গণসংযোগ চালাবেন ও লিফলেট বিতরণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এসকে/এসএইচ