ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ করতেন চলে গেলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপি করতেন চলে গেছেন, রবও একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন পরে জাসদে যোগ দিয়েছে। সেখান থেকে আরেক জাসদ মান্নাও একাধিক দলের সদস্য হয়েছেন।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় নবনির্মিত ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্ট উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মনে হয় না, তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবেন। এখানে ড. কামাল হোসেন নেতা, বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতা, আ স ম আব্দুর রব নেতা, মান্না নেতা। এ সব নেতা মিলে হয়েছে নেতার ঐক্য, এখানে কোন কর্মী নাই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন— আওয়ামী লীগ নেতার পার্টি নয়, কর্মীর সংগঠন। কারষ দলে যদি কর্মী না থাকে নেতারা নেতা হতে পারে না।
কয়েকদিন আগে নাগরিক নাট্য মঞ্চে জাতীয় ঐক্যের নেতারা একত্রিত হলেও এরই মধ্যে তারা আলাদা মঞ্চে যেতে শুরু করেছেন মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, একজন থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন, আরেকজন কালকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল, বাতিল করেছেন। আজকে (রোববার) আবার বিএনপি সবাইকে বাদ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিটিং করছে। সুতরাং এই ঐক্য টিকবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আদর্শ ছাড়া কখনও কোনো ঐক্য টিকে না।
জাতীয় ঐক্য বললে দেশের সমস্ত দল একত্রিত হতে হবে— উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল তখন কংগ্রেস, বিজেপিসহ যতো দল ছিল সব দল এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেটা ছিল জাতীয় ঐক্য। এখানে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড়দল, তার সঙ্গে রয়েছে ১৪ দল। তাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয় না। তারা বৃহত্তর ঐক্য নাম দিলেও দিতে পারতো।
বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়ালটন গ্রুপের কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ওয়ালটনের অনেক নাম ও প্রশংসা শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখলাম। প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে ঘুরে যা দেখলাম, তা অকল্পনীয়। ওয়ালটনের প্রত্যেকটা ইউনিট সাজানো-গোছানো। ওয়ালটন তাদের মেধা, শ্রম দিয়ে সবকিছু তৈরি করছে। এখানে এসে আমি মুগ্ধ, অভিভূত, গর্বিত। ওয়ালটন শুধু বাংলাদেশেরই বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়, বরং আন্তর্জাতিক বিশ্বে এরই মধ্যে সুনাম অর্জন করেছে।
খুব শিগগির ওয়ালটন বিশ্ববাজারে মর্যাদাশীল ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ওয়ালটন শুধু দেশের অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে না, বরং বৃহৎ সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও করছে। ওয়ালটন কারখানায় বর্তমানে ২৫ ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে। ৬০ ধরনের পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাঙ্গণে পৌঁছলে তাকে অভ্যর্থনা জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালটন গ্রুপের ডিরেক্টর রাইসা সিগমা হিমা।
এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের গ্লাস ডোর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন এবং ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি পণ্যের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এএটি/জিপি