তিনি বলেছেন, আমার খুব দুঃখ হচ্ছে, আমি খুব বেদনাহত! যারা এ হামলার ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একটি শাস্তি হলো না-কি? আইভী রহমানের সঙ্গে সারাজীবন ধরে আমরা চলাফেরা করেছি, তার বিচারটা ঠিকমতো হলো না! এজন্য খুব মর্মাহত।
বুধবার (১০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন মামলার রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় মমতাজ বেগম এ কথা বলেন।
হামলায় জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই হামলার পেছনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাস্টারমাইন্ডের ভূমিকা পালন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তারেককেই ইঙ্গিত করে মমতাজ বেগম বলেন, অনেকের ফাঁসি হয়েছে, হোক তাদের ফাঁসি, যারা না-কি এটার মূলহোতা, যে না-কি এগুলোর সব পরিচালনা করলো, তার কিচ্ছুই হলো না!
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ এ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
ইএস/টিএ/এইচএ/