রায় ঘোষণার পর বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ এ গ্রেনেড হামলা গুরুতর আহত নাসিমা ফেরদৌসী।
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছর ধরে আমরা আহতরা প্রতিনিয়ত যন্ত্রণায় ভুগছি। আমরা এখনো বেঁচেও আছি মরার মতো। যেখানে জামায়াত-বিএনপির আমলে তারেকের হুকুমে এ হামলা হয়েছে, আর তাকেই দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারেক রহমানকে ফাঁসির রায় হওয়া উচিত ছিল। ’
এমন রায় দেখতে দীর্ঘ ১৪ পর অপেক্ষা করতে হয়েছে উল্লেখ করে নাসিমা ফেরদৌসী বলেন, ‘তারেকসহ অধিকাংশ রাঘব-বোয়ালদের মৃত্যুদণ্ডের বিপরীতে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। আমি আহত হয়েও এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না। সাজা বাড়াতে আমরা সরকার এবং আদালতের কাছে আবেদন করবো। ’
পাশাপাশি যাদেরকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে তাদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরও দাবি জানান তিনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরও ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার রায় দেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ এ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
জিপি